স্বদেশ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া স্টেটের বাংলাদেশি সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান রবিবার ফিলাডেলফিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি ফোরাম অব পেনসিলভেনিয়া’র সমন্বয়ে এই স্টেটের ইতিহাসে স্বাধীনতা দিবসের আমেজে সকল সংগঠনের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সভাটি হয়ে উঠেছিল কমিউনিটির সম্প্রীতির বন্ধনের অনন্য এক নজির হিসেবে।
স্থানীয় সংবাদদাতা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম (আরিফ) জানান, এতে মডারেটর ছিলেন ডা. ইবরুল চৌধুরী এবং অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাউন্সিলম্যান কামরুল হাসান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অংশগ্রহণকারী ২১টি সংগঠনের সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক, পেনসিলভেনিয়ার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, আমেরিকার মূলধারার রাজনীতির নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকবৃন্দ।
বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। সূচনায় কামরুল হাসান সমবেত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানটির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে ডা. ইবরুল চৌধুরী সার্বিক দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে আশরাফুল ইসলাম আরিফ বক্তব্য দেন।
সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ প্রত্যেকেই তাদের পরিচয় দিয়ে পরামর্শমূলক মতামত দেওয়ার মাধ্যমে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক ডাঃ জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ, আবু আমিন রহমান, শেলী রহমান, ড. নিনা আহম্মেদ, ডাঃ ফাতেমা আহম্মেদ, ফারহানা আফরোজ, জোহরা খাতুন কলি ও নির্বাচিত মেয়র মাজবুবুল আলম তৈয়ব এবং কাউন্সিলম্যানবৃন্দ।
সভাটি ছিলো অত্যন্ত প্রাণবন্ত। পরিচয় পর্ব এবং প্রত্যেকের মতামত দেওয়ার পর সকলে কয়েকটি সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, পেলসিলভেনিয়ার বাংলাদেশি সংগঠনসমূহ প্রতি বছর নিজেদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। আর এভাবেই সকল সংগঠন ভবিষ্যতে একটি ছাতার নিচে আসতে পারে এবং নিজেদের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন করাসহ ভবিষ্যতে যেকোনো দুর্যোগসহ যথাসাধ্য জাতীয়/আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ পালনের চেষ্টা করা হবে। সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সকলে এক পতাকাতলে জড়ো হতে পারলে অনেক সমস্যারই সহজ সমাধান সম্ভব এবং স্টেট, সিটি এবং জাতীয় নির্বাচনেও বিজয় ছিনিয়ে আনা কঠিন কোন কাজ হবে না বলে উল্লেখ করেন সকলে। এ অভিপ্রায়ে কয়েকটি চ্যাটরুম চালুর কথা বলা হয়। প্রথম চ্যাট রুমটিতে থাকবেন সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ এবং সম্মানিত দিক নির্দেশনাকারী, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
আর দ্বিতীয় চ্যাট রুমটিতে থাকবেন পেনসিলভেনিয়ার সংগঠনসমূহের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ। আর সর্বশেষ মানে তৃতীয় চ্যাট রুমে থাকবেন দায়িত্বে থাকা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং তাদের সহযোগিতা করার দলটি।